কোভিড-১৯ এর প্রভাব নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বাংলাদেশের কারখানাগুলোকে সহায়তা করা

News | 20 October 2020

৬ এবং ১৩ অক্টোবর ২০২০, আইএলও-সিডা ডিসেন্ট ওয়ার্ক ইন গার্মেন্টস সাপ্লাই চেইন এশিয়া (ডিডব্লিউজিএসসি) প্রকল্পটি কারখানার জন্য অনলাইনে দুটি পরিচিতিমূলক অধিবেশন আয়োজন করে। অধিবেশনগুলোতে ১৬৭ টি কারখানার প্রতিনিধিদের সাথে কোভিড -১৯ ব্যবসায়িক সক্ষমতা নির্দেশিকাগুলোর মূল বিসয়সমূহ এবং প্রস্তাবনাসমূহ পরিচিত করানো হয়। কারখানার প্রতিনিধিরা এখানে প্রশ্ন করার এবং তাদের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে একে অপরের সাথে কথা বলার সুযোগ পেয়েছে।

কোভিড -১৯ ব্যবসায়িক সক্ষমতা নির্দেশিকাগুলো কোভিড -১৯ মহামারীর সংকটের সময় কারখানার কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য কারখানা ব্যবস্থাপকদের সহয়তার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছিল। নির্দেশিকাগুলো অত্যন্ত বাস্তবসম্মত এবং কারখানার জন্য বাস্তব পদক্ষেপ প্রদান করে থাকে। এর সাথে অতিরিক্ত সহায়তা উপকরণ যেমন এক্সেল শিট এবং কর্ম পরিকল্পনা তৈরী করার ও কারখানার লে-আউট (নকশা) সমন্বয় করার জন্য টেমপ্লেট এর ব্যবস্থা রয়েছে।

প্রথম পর্বে, কোভিড-১৯ এর ফলে সৃষ্ট আর্থিক প্রভাব নিয়ে আলোচনা করা হয়। মাসকো গ্র‍ুপ থেকে মুকবুল হোসেন জানান মহামারী আরম্ভ হওয়ার পর তাদের গ্র‍ুপ, কোন কোন ক্ষেত্রে ব্যয় হ্রাস করা যায় তা চিহিৃত করতে,উৎপাদন বৃদ্ধি করতে, এবং উপার্জন বাড়ানোর জন্য আয়ের বিভিন্ন উৎস চিহ্নিত করার জন্য একটি মুল্যায়ন করেছিল।

দ্বিতীয় অধিবেশনটিতে, কোভিড-১৯ চলাকালীন এবং এর পরবর্তী সময়ে কিভাবে লোকজন এবং কার্যক্রম পরিচালনা করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করা হয়, । মাল্টিপ্লাস এক্সেসরিস থেকে এবি এম আবুল হোসেন জানান, কিভাবে তারা কারখানায় ব্যবস্থাপনা পরিষদ, ক্রেতা এবং সরবরাহকারীদের সাথে অনলাইন সভা আয়োজন করেছিলেন । তিনি অনলাইনে যোগাযোগের প্রতিবন্ধকতাগুলো তুলে ধরেছিলেন, বিশেষ করে যখন পণ্যগুলোর নমুনা দেখানো হয়, কারণ ছবিতে পন্যেগুলো দেখতে বাস্তবের মতো দেখতে নাও হতে পারে।

এছাড়াও, অংশগ্রহণকারীরা নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর কর্মক্ষেত্র নিশ্চিত করার জন্য গৃহীত ব্যবস্থাসমূহ এবং সংকটের সময়ে শ্রমিকদের সাথে কিভাবে যোগাযোগ করা যাবে তা নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। কারখানার পরিচালকগণ শ্রমিকদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রাখা এবং তাদের উদ্বেগগুলো প্রকাশ করার সুযোগ দেওয়ার উপর গুরুত্ব দিয়েছেন।

অধিবেশনের শেষে, ডিডব্লিউজিএসসি প্রকল্পের টেকনিক্যাল অফিসার সারা অ্যান্ডারসন,তার মন্তব্যে কারখানার প্রতিনিধিদের এই সংকট মোকাবেলায় তাদের অভিজ্ঞতা এবং পরামর্শগুলো অন্যান্য অংশগ্রহণকারীদেরকে জানানোর জন্য ধন্যবাদ জানান । “আমরা আপনাদের সকলকে একসাথে কাজ করতে এবং এই নজিরহীন সময় পার করার জন্য একে অপরকে সহায়তা প্রদান করতে উৎসাহিত করতে চাই।“

দুটি অনলাইন অধিবেশনের রেকর্ডিং পাবেন এখানে.

আরও তথ্যের জন্য, দয়া করে -Sara Andersson এর সাথে যোগাযোগ করুন।